পৃথিবী পৃষ্ঠে বায়ুমণ্ডল না থাকলে কি ঘটতো?

Date:

শেয়ারঃ

বায়ুমণ্ডল না থাকলে পৃথিবীতে জীবনের অস্তিত্ব থাকতো না। সে বিষয়ে আমরা সকলেই অবহিত আছি। জীবনের অস্তিত্ব বাদে পৃথিবীতে আর যা যা ঘটতো….



পৃথিবীপৃষ্ঠে যদি বায়ুমণ্ডল না থাকতো, তাহলে জীবনধারণ অসম্ভব হয়ে যেত। বায়ুমণ্ডল না থাকলে কোনো প্রাণী শ্বাস নিতে পারত না, কারণ অক্সিজেন সরবরাহ থাকত না। বায়ুমণ্ডল সূর্যের তাপ শোষণ ও বিকিরণ নিয়ন্ত্রণ করে। এটি না থাকলে দিনে তাপমাত্রা অনেক বেশি (প্রায় ১০০°C+) এবং রাতে অনেক কম (-১০০°C বা তারও কম) হয়ে যেত। বায়ুচাপের অভাবে তরল পানি বাষ্পীভূত হয়ে যেত বা সরাসরি বরফে পরিণত হতো। ওজোন স্তর না থাকায় সূর্যের অতিবেগুনি (UV) রশ্মি সরাসরি পৃথিবীতে এসে জীবনকে ধ্বংস করত। উল্কাপিণ্ড ও মহাজাগতিক ধূলিকণা কোনো বাধা ছাড়াই পৃথিবীর পৃষ্ঠে আঘাত হানত। বায়ুমণ্ডল শব্দের বাহক, তাই কোনো শব্দ শোনা যেত না।


{getCard} $type={post} $title={মহাকাশ নিয়ে আরো পড়ুন}


বাতাসের ঘর্ষণ না থাকায় বাতাসজনিত প্রতিরোধ কমে যেত, বায়ুমণ্ডল বাতাসের প্রবাহ সৃষ্টি করে, যা পৃথিবীর আবর্তনে খুব সামান্য বাধা দেয়। এটি না থাকলে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি সামান্য (কিন্তু খুবই অল্প) বৃদ্ধি পেতে পারত, তবে এটি জড়তার ভ্রামকের পরিবর্তন সামান্য হতো, বরং কৌণিক বেগের পরিবর্তন বেশি হতো। বায়ুমণ্ডলীয় ভরের অনুপস্থিতিতে সামান্য পরিবর্তন হতে পারত – যদিও বায়ুমণ্ডলের ভর পৃথিবীর তুলনায় খুবই কম, তবুও এটি পুরো গ্রহের ভরের সামান্য অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। যদি এটি পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়া হতো, তবে পৃথিবীর মোট ভর কিছুটা কমত। বায়ুমণ্ডল ছাড়া পৃথিবী চাঁদের মতো নিষ্প্রাণ ও প্রতিকূল পরিবেশে পরিণত হতো।

পৃথিবীপৃষ্ঠের উপরে কোন বায়ুমণ্ডল না থাকলে সময়ের ব্যবধান হ্রাস পাবে। আমরা জানি কৌণিক ভরবেগ L =Iω. পৃথিবীপৃষ্ঠে বায়ুমণ্ডল না থাকলে পৃথিবীর জড়তার ভ্রামক হ্রাস পেত অর্থাৎ কৌণিক বেগ বৃদ্ধি পেত। কৌণিক বেগ, ω= 2π/T . সুতরাং ওমেগা বাড়লে কি কমবে অর্থাৎ সময়ের ব্যবধান হ্রাস পাবে (কৌণিক ভরবেগের নিত্যতা)।{alertSuccess}

mehrab360
mehrab360https://www.mehrab360.com
হোসাইন হাওলাদার, mehrab360.com এর প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য, বিশ্লেষণ ও হালনাগাদ কনটেন্ট নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করে। বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের কাছে জটিল প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো সহজভাবে তুলে ধরা। বিশ্বের প্রযুক্তি জগতের সর্বশেষ আপডেট, রিভিউ ও ব্যাখ্যামূলক কনটেন্ট পড়তে পারবেন। Email: info@mehrab360.com

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিজ্ঞাপনspot_img

এই সম্পর্কে আরো পড়ুন

প্রথম কৃষ্ণগহ্বরের রঙিন ছবি!

রঙ একটি পছন্দনীয় জিনিস। পদার্থবিজ্ঞানে ভাষায় আলোর রঙ তার তরঙ্গদৈর্ঘ্য দ্বারা নির্ধারিত হয়। তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি বা কম...

চীন-রাশিয়া চাঁদে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবে!

২০৩৫ সালের মধ্যে চাঁদে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের একসাথে পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে চীন ও রাশিয়া। চলতি মাসের শুরুর দিকে...

কৃষ্ণগহ্বর আসলে কতটা ভয়াবহ!

কৃষ্ণগহ্বর এমন এক জায়গা যেখানে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি এতটাই শক্তিশালী যে, কোনও কিছুই এমনকি আলোও পড়তে পারে না। কৃষ্ণগহ্বরের...

মহাবিশ্ব অতিক্রম করার সময় কি আলো শক্তি হারায়?

আলো হলো তড়িৎ চৌম্বকীয় বিকিরণ। একটি বৈদ্যুতিক তরঙ্গ এবং একটি চৌম্বক তরঙ্গ একত্রিত হয়ে স্থান-কালের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ...