জাল টাকা যেভাবে পরীক্ষা করা হয় জানলে অবাক হবেন

Date:

শেয়ারঃ


Ultra-violet (UV) রশ্মি হলো দৃশ্যমান আলো ও রঞ্জন রশ্মি এই দুই এর মাঝখানে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট তড়িৎ চুম্বকীয় রশ্মি। (UV) রশ্মি ব্যবহার করে জাল টাকা ও পাসপোর্ট শনাক্ত করা যায়। এই রশ্মির মাধ্যমে দুষ্টু চক্রকে সহজেই ধরা যায়। কিভাবে জাল টাকা সনাক্ত করা হয় তা প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্ভব।

সংগৃহীত | freepik.com

আসল কারেন্সি নোট এর অভ্যন্তরে গঠনগত একটি পার্থক্য রয়েছে যাকে বলা হয় কারেন্সি নোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জাল পাসপোর্ট বা নকল টাকা শনাক্তকরণে বর্তমানে UV রশ্মি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। UV রশ্মির মূল তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ১০ ন্যানোমিটার থেকে ৩৮০ ন্যানোমিটার অপটিক্যাল সেন্সর রূপে আসল নকল কারেন্সি নোট ডিটেক্টর মেশিনে ২৩০ ন্যানোমিটার থেকে ৩৭৫ ন্যানোমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের (UV) ব্যবহৃত হয়। যেকোনো দেশের আসল টাকার নোটে সিকিউরিটি ডিভাইস রূপে অপটিক্যাল সেন্সর মেশিনে পাসপোর্ট নামক বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয়।


ফসফোর কি?

ফসফোর হলো ২০০ ন্যানোমিটার থেকে ৩৭৫ ন্যানোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের UV রশ্মির শোষণকারী। কিন্তু দৃশ্যমান অঞ্চলে অর্থাৎ, ৩৮০ ন্যানোমিটার থেকে ৭৮০ ন্যানোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মধ্যে ঐ শোষিত শক্তি বিকিরণকারী রাসায়নিক পদার্থ।

ফসফোর পদার্থের ইলেকট্রন UV রশ্মির ক্ষুদ্র তরঙ্গ বা বৃহৎ ফ্রিকোয়েন্সির ফোটন দ্বারা উত্তেজিত হয়ে উচ্চশক্তিস্তরে গমন করে, পরে এই উত্তেজিত ইলেকট্রন উত্তেজিত অস্থিতিশীল অবস্থা থেকে সুস্থিত অবস্থায় ফেরার সময় দৃশ্যমান আলোর নির্দিষ্ট বর্ণের শক্তি বিকিরণ করে একে প্রতিপ্রভা বলে। এই প্রতিপ্রভার আকৃতি দেখে আসল টাকা ও জাল টাকা শনাক্ত করা যায়। মূলত এই জাল টাকায় কোন ফসফোর থাকে না। তাই প্রতিপ্রভা সৃষ্টি হয় না। এই নীতির উপর ভিত্তি করে এদেরকে আলাদা করা হয়।

mehrab360
mehrab360https://www.mehrab360.com
হোসাইন হাওলাদার, mehrab360.com এর প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক তথ্য, বিশ্লেষণ ও হালনাগাদ কনটেন্ট নিয়ে নিয়মিত লেখালেখি করে। বাংলা ভাষাভাষী পাঠকদের কাছে জটিল প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক বিষয়গুলো সহজভাবে তুলে ধরা। বিশ্বের প্রযুক্তি জগতের সর্বশেষ আপডেট, রিভিউ ও ব্যাখ্যামূলক কনটেন্ট পড়তে পারবেন। Email: info@mehrab360.com

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

বিজ্ঞাপনspot_img

এই সম্পর্কে আরো পড়ুন

পাকা ফলে এস্টার থাকে কেন?

আমরা প্রায় সবাই এস্টার সম্পর্কে জানি। কেউ হয়তো বা জানি না। এস্টার হলো জৈব যৌগের (-COOR') মূলকের উপস্থিতি।...

প্রায় সব প্রাণী কেন অক্সিজেন গ্রহণ করে?

পৃথিবীর প্রায় সব প্রাণীই বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন গ্রহণ করে। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে পারে—কেন অক্সিজেন? এতসব গ্যাসের ভেতরে...

সোডিয়াম মৌলের অজানা তথ্য

সোডিয়াম (Na) – এটি একটি পরিচিত নাম, বিশেষত আমরা যখন টেবিল লবণের কথা বলি। তবে এই মৌলটির পরিচিতির...

জৈব যৌগ ৪ পর্ব – এইচএসসি প্রস্তুতি

অ্যালকিনসাধারণ সংকেতঃঅ্যালকিনের সাধারণ সংকেত CnH2n এরা অসম্পৃক্ত যৌগ এবং পাশাপাশি দুটি কার্বনের মাঝে সাধারণত একটি বন্ধন থাকে।অ্যালকিনের সাধারণ...