সভ্যতার শুরুর দিকে মিশরীয়রা তাদের বিভিন্ন দশা দেখে মাস এবং বছর নির্ধারণ করত। খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ সালে মিশরে সূর্য ঘুরি আবিষ্কৃত হয়। ১২টি দাগে বিভক্ত ঘড়িটি সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত নির্দেশ করতো। তবে মেঘলা দিনে এবং রাতের বেলায় এটি কার্যকর ছিল না।
দিন-রাতের পার্থক্য ঘোচাতে মিশরীয়রা আবিষ্কার করে জলঘড়ি। নিচের দিকে নলযুক্ত একটি পাত্র থেকে পানি অন্য পাত্রে জমতে থাকে এবং জমা পানির পরিমাণ দেখে সময়ের হিসাব করা হতো। এটি Hourglass নামেই পরিচিত। এটিও মিশরীয়দেরই আবিষ্কার। এর ভেতরে সাধারণত বালি রাখা হয়। নির্দিষ্ট Hourglass নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় নির্দেশ করাত পারে। এশিয়া অঞ্চলে বিশেষত চীনে মধ্যযুগে মোমঘড়ির প্রচলন শুরু হয়। মোমের দাগকাটা দেখে এর সময় নিরূপণ করা হতো।
১৯২৭ সালে ওয়ারেন ম্যারিসন কোয়ার্টাজ ক্রিস্টাল ব্যবহার করে তৈরি করেন কোয়ার্টজ ঘড়ি। এ ক্রিস্টালে ভোল্টেজ প্রয়োগ করা হলে তাতে সেকেন্ডে ৩২৭৬৮ টি কম্পন সৃষ্টি হয়।(alert-success)
কোয়ার্টজ ঘড়িতে প্রতি মাসে ১৫ সেকেন্ড ত্রুটি দেখা যায়। ১ সেকেন্ডের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভাগ পর্যন্ত সময় সঠিকভাবে নির্ণয়ের প্রয়োজনীয়তা থেকে ১৯৫৫ সালে পদার্থবিদ Louis Essen আবিষ্কার করেন পারমাণবিক ঘড়ি। এতে ব্যবহৃত সিজিয়াম পরমাণু সেকেন্ডে ৯,১৯২,৬৩১,৭৭০ বার কম্পিত হয়। অত্যন্ত নিখুঁত এ ঘড়িতে ১ সেকেন্ড সময় ত্রুটি হতে সময় লাগবে ৩০০ মিলিয়ন বছর।
পারমাণবিক ঘড়িই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে নিখুঁতভাবে সময় গণনা করতে পারে। এর চেয়েও ভালো সময় পরিমাণের পদ্ধতি হয়তো পরবর্তী দশকে কিংবা শতকে আমরা খুঁজে পাবো। কে জানে? সময়ই বলে দেবে