প্রাচীনকালের মানুষ কত কিছুই না মনে করতো। তাদের ধারণা ছিল সব ভিত্তিহীন। আধুনিক যুগে মানুষ এইসব ভিত্তিহীন কুসংস্কার থেকে বের হয়ে এসেছে। দুটি ছায়া নিয়ে অনেক কুসংস্কার রয়েছে মানুষের মধ্যে। প্রচলিত আছে যে দুটি ছায়া দেখলে তার সেটা মানুষ নয় অন্য কিছু মনে করে। আমাদের সমাজে অনেক কুসংস্কার আবদ্ধ যে কারণে এটি প্রচলিত। আগের কালের মানুষ মনে করত যে কোন অশরীরী কিছু তার ওপর ভর করেছে সেজন্য তাকে দুটি চায়ায় দেখাচ্ছে। কিন্তু এ ধারণা একদমই সঠিক নয়। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় তা পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়।

মানুষের দুটি ছায়া দেখা যায় তখন, যখন দুটি আলোর উৎস থাকে এবং তারা ভিন্ন দিক থেকে আলো দেয়। সাধারণত সূর্য একটি প্রধান আলোর উৎস, কিন্তু যখন তার সাথে আরেকটি কৃত্রিম আলোর উৎস যেমন বৈদ্যুতিক লাইট বা গাড়ির হেডলাইট কাছাকাছি থাকে, তখন এই অবস্থা তৈরি হয়। দুটি আলোর উৎস দুই দিক থেকে মানুষের গায়ে আলো ফেললে, প্রতিটি উৎস থেকে আলোর প্রতিক্রিয়ায় দুটি আলাদা ছায়া তৈরি হয়। এই ছায়াগুলো আলাদা দিকের মাটিতে পড়ে এবং রঙ বা ঘনত্বে ভিন্ন হতে পারে।
ছায়ার অবস্থান নির্ভর করে আলোর উৎসের দিক ও তীব্রতার ওপর। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সন্ধ্যাবেলায় রাস্তার বাতির নিচে দাঁড়ালে সূর্যের শেষ আলো একদিকে এবং বৈদ্যুতিক আলো আরেকদিকে পড়ে, তখন দুটি ছায়া পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। এছাড়া স্টেজ শো, থিয়েটার বা চলচ্চিত্রের সেটেও একাধিক লাইট ব্যবহার করা হয়, যার ফলে একাধিক ছায়া তৈরি হয়।
এই ছায়াগুলো সব সময় সমান স্পষ্ট হয় না। কোনটি গাঢ় এবং কোনটি হালকা হয়, তা নির্ভর করে কোন আলো কতটা শক্তিশালী। তাই, দুটি আলোর উৎস থাকলে মানুষের দুটি ছায়া দেখা সম্ভব।