প্রাচীনকালে মানুষ গরমের দিনে যেভাবে চলত, তা নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে। সে সময়ে এখনকার মতো বায়ু নিয়ন্ত্রণ (এসি) যন্ত্র ছিল না। অনেক কষ্ট পার করতে হয়েছে তাদের। আসলে সে সময়ে এখনের মতো গরম ছিল না। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখনের তাপমাত্রার সাথে তখনকার তাপমাত্রার তুমুল পার্থক্য।
পরিবেশের ওপর এর প্রভাব বিশাল হতে পারে। কেননা এমনটা হলে আর কোনো খরা বা বন্যা হবে না, তাপপ্রবাহের হাঁসফাঁস নেই বা বরফ জমে রাস্তা বন্ধ হওয়ার অবস্থা সৃষ্টি হবে না। মরুভূমি হয়ে উঠবে সবুজ শ্যামল। ফসল কখনই নষ্ট হবে না। প্রকৃতপক্ষে জলবায়ু পরিবর্তন জলবায়ুকে হ্যাক করার কিছু উদ্ভট ধারণার জন্ম দিয়েছে। যেমন উপরের বায়ুমণ্ডলে সালফিউরিক এসিড স্প্রে করা, বা সাগরে কুইকলাইম ফেলা।
তখনের মানুষেরা আগুন আবিষ্কার এবং একে আয়ত্ত করার পর থেকে মানুষ শীতকালে নিজেদের উষ্ণ করতে সক্ষম হয়েছে। এখন গরম এলে নিজেদের ঠান্ডা করার বিষয়টি আরও কঠিন। এলাগাবুলাস নামে এক পাগলাটে রোমান সম্রাট পাহাড় থেকে তুষার নামাতে এবং তার বাগানে সেই তুষার স্তূপ করার জন্য ক্রীতদাসদের পাঠিয়েছিলেন। যেন বাতাসের প্রবাহ সেই বরফ শীতল বাতাসকে ভিতরে নিয়ে যায় এবং ভেতরের পরিবেশ ঠান্ডা করে দেয়।