পৃথিবী সূর্যের চারপাশে আরও একটি আবর্তন সম্পন্ন করল। ক্যালেন্ডারের পাতায় ২০২৩ এর সাথে ১ যোগ হয়ে সংখ্যাটা ২০২৪ হলো। এই নতুন বছরের নতুন ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টাতে গিয়ে মনে একটি প্রশ্ন জেগে ওঠে –
ক্যালেন্ডারের ধারণাটি কীভাবে এল?
অনেকবছর আগেই মানুষ প্রকৃতিতে সময়ের বিভিন্ন চক্র লক্ষ্য করেছিল। এর মধ্যে দিনের চক্রটি বোঝা সব থেকে সহজ ছিল। সূর্যোদয় একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর হয়, এই নির্দিষ্ট সময়টিই একদিন। এবারে আসে মাসের চক্র। অমাবস্যার পরেরদিন আকাশে আবার নতুন এক চিলতে চাঁদ দেখা যায়। মানুষ এবার লক্ষ্য করল, একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর এই নতুন চাঁদ দেখা দেয়। এই নতুন চাঁদ আগমনের মধ্যবর্তী সময়টাই হলো মাস। ইংরেজিতে Month শব্দটি কিন্তু Moon থেকেই এসেছে।
তবে বছরের চক্রটি বুঝতে মানুষকে একটু বেগ পেতে হয়েছে। কারণ এটি স্বল্পসময় পর্যবেক্ষণে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায় না। তবে দুটি শীতঋতু যে মোটামুটি নির্দিষ্ট সময় পরপর আসে, এই ধারণা তাদের ছিল। বলাই বাহুল্য, বছরের চক্রটি বোঝা তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ এই চক্রের সাথে ঋতু পরিবর্তন সম্পর্কিত। আর ঋতুর ওপর তাদের কৃষিকাজ নির্ভরশীল ছিল। তাই এ চক্রকে সূক্ষ্মভাবে বোঝার জন্য প্রাচীনকালের মানুষেরা বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালায়।
প্রত্নতাত্ত্বিকেরা সময় গণনার পদ্ধতিগুলি পুনর্গঠন করেছেন যা প্রাগৈতিহাসিক সময়ে নিয়ে যায় ও কমপক্ষে নব্যপ্রস্তরযুগের সমান পুরানো।(alert-success)
বেশিরভাগ ঐতিহাসিক সভ্যতাগুলি সময় গণনার জন্য প্রাকৃতিক একক যেমন দিন, সৌর বছর এবং চন্দ্রমাস ব্যবহার করত । বর্ষপঞ্জিগুলি সময় গণনার সুস্পষ্ট মাধ্যম হিসাবে ব্যবহৃত হয়। প্রথম ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত এবং সূত্রকৃত বর্ষপঞ্জিগুলি ব্রোঞ্জ যুগের ছিল , এই তথ্য প্রাচীন নিকট প্রাচ্যে লেখার বিকাশের উপর নির্ভরশীল। সুমেরীয় বর্ষপঞ্জিটি হল প্রাচীনতম, তারপরে মিশরীয় , অ্যাসিরীয় বর্ষপঞ্জী এবং এলামাইট বর্ষপঞ্জি ।