গুগলের সার্ভার সাধারণত ডাউন হয় না কারণ তারা এমন প্রযুক্তি ও অবকাঠামো ব্যবহার করে যা তাদের সার্ভারকে সর্বোচ্চ স্তরের নির্ভরযোগ্যতা ও স্থায়িত্ব প্রদান করে। গুগলের সার্ভার বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা একাধিক ডেটা সেন্টারে থাকে। ফলে একটি ডেটা সেন্টার সমস্যা করলে অন্য ডেটা সেন্টার থেকে পরিষেবা চালু থাকে।
{getToc} $title={Table of Content} $count={Boolean} $expanded={Boolean}
গুগলের সার্ভার সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা ডেটা সেন্টারে স্থাপন করা হয়েছে। এভাবে কাজ ভাগ করে নেওয়ার ফলে কোনো একটি অঞ্চলের সার্ভারে সমস্যা হলেও অন্য অঞ্চল থেকে পরিষেবা অব্যাহত থাকে। সার্ভার চালানোর জন্য প্রচুর বিদ্যুৎ প্রয়োজন, ফলে প্রচণ্ড তাপ উৎপন্ন হয়। গুগল উন্নত কুলিং সিস্টেম ব্যবহার করে, যাতে সার্ভারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ওভারলোড বা ড্যামেজ হওয়ার আশঙ্কা কমে।
গুগল একই ডেটা বিভিন্ন জায়গায় সংরক্ষণ করে (রিডান্ডেন্সি) এবং প্রতিটি সার্ভারের ব্যাকআপ রাখে। ফলে একটি সার্ভার ব্যর্থ হলেও ডেটা ও পরিষেবায় কোনো সমস্যা হয় না। গুগল ক্লাউড প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যা তাদের অ্যাপ্লিকেশন এবং পরিষেবাগুলিকে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে। এর মাধ্যমে একটি অংশে সমস্যা হলেও পুরো সিস্টেম কাজ চালিয়ে যেতে পারে। গুগল তাদের সার্ভার নিয়মিত আপডেট করে এবং সেগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। এভাবে সম্ভাব্য সমস্যাগুলো আগেই সমাধান করা যায়।
গুগল সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধে উন্নতমানের সিকিউরিটি ব্যবস্থা নেয়, যেমন ফায়ারওয়াল, এনক্রিপশন, এবং ডিডস আক্রমণ রোধকারী প্রযুক্তি। গুগলের সার্ভারগুলোতে এমন স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম আছে, যা যেকোনো ত্রুটি দ্রুত শনাক্ত করে এবং নিজেই মেরামত করতে পারে। গুগলের প্রকৌশলীরা ২৪/৭ কাজ করে, যাতে সিস্টেম সবসময় কার্যকর থাকে। সমস্যা দেখা দিলে তা দ্রুত সমাধান করা হয়। গুগলের এই উচ্চমানের অবকাঠামো এবং পরিচালনার কারণে সার্ভার ডাউন হওয়ার ঘটনা খুবই বিরল। এটি গুগলের বিশ্বস্ততা এবং কার্যকারিতা বজায় রাখার একটি মূল কারণ।
প্রধান কারণঃ
১. ডেটা সেন্টারগুলোর বৈশিষ্ট্য
২. লোড ব্যালেন্সিং
৩. ব্যাকআপ সিস্টেম
৪. উন্নত সফটওয়্যার ও অ্যালগরিদম
৫. ডেটা রিডানডেন্সি (Data Redundancy)
৬. ২৪/৭ মনিটরিং
৭. অ্যাপ্লিকেশন কন্টেইনারাইজেশন