বিজ্ঞান ও যোগাযোগ প্রযুক্তির একটি সর্বাধুনিক প্রয়োগ হল ড্রোন বা মানববিহীন এয়ার ক্রাফট। একে উড়ন্ত রোবটও বলা হয়ে থাকে।
![]() |
এআই দিয়ে নির্মিত |
কাজেই ড্রোন এক ধরনের মানববিহীন এয়ার ক্রাফট যা এর যাত্রাস্থান থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। এটি মিলিটারি স্যাটেলাইট যা অনেকগুলো টার্গেটকে একসাথে টানা সাতদিন যাবৎ পর্যবেক্ষণ করতে পারে।
এ ক্ষেত্রে এয়ার ক্রাফটটি রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা পরিচালিত হয় অথবা এটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে সেন্সর এবং জিপিএস এর সাহায্যে সফটওয়্যার কন্ট্রোলড ফ্লাইট প্ল্যান দ্বারা পরিচালিত হয়। ভূ-পৃষ্ঠে অবস্থিত কন্ট্রোলার এবং যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে এটি কাজ করে। ছোট আকৃতির ড্রোন ব্যাটারি চালিত হয় এবং বড় আকারের ড্রোন ইঞ্জিন চালিত হয়।
ড্রোন সেন্সর, একচুয়েটর, প্রপেলার, ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক স্পীড কন্ট্রোলার, সার্ভো মটর, পেলোড একচুয়েটর, স্পীকার, রিমোট কন্ট্রোল সিস্টেম ইত্যাদির সমন্বয়ে তৈরি হয় এবং কম্পিউটার সফটওয়্যারের সাহায্যে এটি পরিচালিত হয়।
সাধারনত যে সব ক্ষেত্রে মানুষের পক্ষে বিমান চালনা করা বিপজ্জনক, ঝুঁকিপূর্ণ অথবা কঠিন সে সব ক্ষেত্রে মানব বিহীন এয়ার ক্রাফট ড্রোন ব্যবহার করা হয়। সামরিক বাহিনীতে ব্যবহারের জন্যই প্রধানত ড্রোন তৈরি করা হয়েছিল।
এটি আকাশ পথে ২৪ ঘন্টা এবং সপ্তাহে ৭ দিন পর্যবেক্ষণ করতে পারে। তবে বর্তমানে এটি অন্যান্য ক্ষেত্রে অধিক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন-কৃষি ক্ষেত্রে, বাণিজ্যিক ভাবে, বিনোদনে, বৈজ্ঞানিক গবেষণায়, পণ্য পরিবহনে, ড্রোন রেস এবং এরিয়াল ফটোগ্রাফিতে।
এছাড়া নিরাপত্তাজনিত নজরদারি এবং সীমান্ত প্রহরার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। যুদ্ধক্ষেত্রে এর ব্যপক ব্যবহার রয়েছে। বর্তমানে মিলিটারি ড্রোন অপেক্ষা অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ড্রোনের চাহিদা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। উনিশ শতকের শুরু থেকেই মানববিহীন ড্রোন আবিষ্কারের চেষ্টা চলতে থাকে।