বঙ্গাব্দ
© Mehrab360

জাল টাকা যেভাবে পরীক্ষা করা হয় জানলে অবাক হবেন

© Mehrab360



Ultra-violet (UV) রশ্মি হলো দৃশ্যমান আলো ও রঞ্জন রশ্মি এই দুই এর মাঝখানে তরঙ্গ দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট তড়িৎ চুম্বকীয় রশ্মি। (UV) রশ্মি ব্যবহার করে জাল টাকা ও পাসপোর্ট শনাক্ত করা যায়। এই রশ্মির মাধ্যমে দুষ্টু চক্রকে সহজেই ধরা যায়। কিভাবে জাল টাকা সনাক্ত করা হয় তা প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্ভব।
সংগৃহীত | freepik.com


আসল কারেন্সি নোট এর অভ্যন্তরে গঠনগত একটি পার্থক্য রয়েছে যাকে বলা হয় কারেন্সি নোটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জাল পাসপোর্ট বা নকল টাকা শনাক্তকরণে বর্তমানে UV রশ্মি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়। UV রশ্মির মূল তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ১০ ন্যানোমিটার থেকে ৩৮০ ন্যানোমিটার অপটিক্যাল সেন্সর রূপে আসল নকল কারেন্সি নোট ডিটেক্টর মেশিনে ২৩০ ন্যানোমিটার থেকে ৩৭৫ ন্যানোমিটার তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের (UV) ব্যবহৃত হয়। যেকোনো দেশের আসল টাকার নোটে সিকিউরিটি ডিভাইস রূপে অপটিক্যাল সেন্সর মেশিনে পাসপোর্ট নামক বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহৃত হয়।


ফসফোর কি?

ফসফোর হলো ২০০ ন্যানোমিটার থেকে ৩৭৫ ন্যানোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের UV রশ্মির শোষণকারী। কিন্তু দৃশ্যমান অঞ্চলে অর্থাৎ, ৩৮০ ন্যানোমিটার থেকে ৭৮০ ন্যানোমিটার তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মধ্যে ঐ শোষিত শক্তি বিকিরণকারী রাসায়নিক পদার্থ।

ফসফোর পদার্থের ইলেকট্রন UV রশ্মির ক্ষুদ্র তরঙ্গ বা বৃহৎ ফ্রিকোয়েন্সির ফোটন দ্বারা উত্তেজিত হয়ে উচ্চশক্তিস্তরে গমন করে, পরে এই উত্তেজিত ইলেকট্রন উত্তেজিত অস্থিতিশীল অবস্থা থেকে সুস্থিত অবস্থায় ফেরার সময় দৃশ্যমান আলোর নির্দিষ্ট বর্ণের শক্তি বিকিরণ করে একে প্রতিপ্রভা বলে। এই প্রতিপ্রভার আকৃতি দেখে আসল টাকা ও জাল টাকা শনাক্ত করা যায়। মূলত এই জাল টাকায় কোন ফসফোর থাকে না। তাই প্রতিপ্রভা সৃষ্টি হয় না। এই নীতির উপর ভিত্তি করে এদেরকে আলাদা করা হয়।


{fullWidth}
© Mehrab360